লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট: উপকারিতা, কার্যকারিতা ও আগে-পরে করণীয়

Published On: July 15th, 2025Categories: Lip Filler Treatment
লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট: উপকারিতা, কার্যকারিতা ও আগে-পরে করণীয়

গ্লোয়িং স্কিনের পাশাপাশি যখন নিজের ঠোঁটও থাকে স্মুথ, সফট আর সুন্দর, তখনই আপনার চেহারা হয় নজরকারা আর পুরো লুকটা হয় পারফেক্ট!

কিন্তু অনেকেরই রুক্ষ, শুষ্ক ও সময়ের সাথে সাথে রিঙ্কেল পড়া ঠোঁট চেহারার সৌন্দর্যটাই একদম ম্লান করে দেয় আর তখন কমে যায় নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস। তাই এই যুগের সৌন্দর্য সচেতন নারীরা বেছে নিচ্ছেন জনপ্রিয় ও নিরাপদ লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট।

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টে ঠোঁট দেখতে হয় সিম্পলি বিউটিফুল!

বর্তমানে আধুনিক লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে খুব সহজে পেতে পারেন আপনার পছন্দমত ঠোঁটের শেপ আর বাড়িয়ে নিতে পারেন সৌন্দর্য। এই আধুনিক ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে শুধু ঠোঁটের লুকই বদলে যায় না, বরং ব্যাতিক্রম শেপের ঠোঁটও দেখতে লাগবে একদম ন্যাচারাল ও আকর্ষণীয়। আর এই লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট কোনো ধরণের সার্জারির ঝামেলা ছাড়াই সম্ভব যা আপনাকে দিবে নিশ্চিত ন্যাচারাল, সফট আর সিম্পলি ঠোঁট—যা সৌন্দর্য সচেতন নারীদের বিশেষ পছন্দ!

আসুন জেনে নেই, লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট কী এবং কিভাবে এই ট্রিটমেন্ট ন্যাচারাল ঠোঁট এনে দিতে সক্ষম –

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট কী

লিপ ফিলার এক ধরনের নন-সার্জিক্যাল Aesthetic ট্রিটমেন্ট (ব্যথামুক্ত), যেখানে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড (Hyaluronic Acid) ইনজেকশনের মাধ্যমে ঠোঁটে প্রয়োগ করা হয়। এই হায়ালুরোনিক অ্যাসিড (Hyaluronic Acid) আমাদের দেহের মধ্যেই থাকে তবে বয়সের সাথে সাথে এর প্রভাব কমে যায়, ফলে ঠোঁটে ভাজ (Fine Lines) পড়ে, ঠোঁট রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। আর তাই যখন বাইরে থেকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড (Hyaluronic Acid) ইঞ্জেক্ট করা হয় তখন ঠোঁটের শেপ বেড়ে ঠোঁটকে বানায় স্মুথ, সফট ও ন্যাচারাল লুকিং। এছাড়া লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের সময় ডার্মাটোলজিস্ট মুখের শেপ, ঠোঁটের অনুপাত এবং ভলিউম বুঝে পরিমাণমতো ফিলার প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করেন।

ঠোঁটে কিভাবে লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট কাজ করে

ঠোঁটে কিভাবে লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট কাজ করে

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের সময় যখন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড (Hyaluronic Acid) ইঞ্জেক্ট করা হয় তখন আয়তন (Shape) ঠোঁটের খানিকটা বাড়ে এবং ঠোঁটের বলিরেখা (Wrinkle) মুছে যায় আর ঠোঁটের ন্যাচারাল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। আর এই ট্রিটমেন্টের সবচেয়ে ভালো দিক হলো এতে ঠোঁটের ত্বক ভিতর থেকে সতেজ হয়ে ঠোঁটের ন্যাচারাল লুক বজায় রাখে। এভাবে ঠোঁট হয়ে উঠবে আরও সফট, হাইড্রেটেড আর তারুণ্যময়। যাদের ঠোঁট পাতলা, অসমান বা বয়সের ছাপে রুক্ষ হয়ে গেছে, তাদের জন্য এই ট্রিটমেন্ট দ্রুত এবং কার্যকর সল্যুশন। আধুনিক লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টে সফট ও ফ্লেক্সিবল ফিলার ব্যবহার করা হয়, যা ঠোঁটের সাথে মসৃণভাবে মিশে যায়। এক ক থায় বলতে, লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট ঠোঁটের All In One Solution!

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট নেওয়ার উপকারিতা

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট নেওয়ার উপকারিতা

সার্জারী ছাড়াই ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট এখন অনেক জনপ্রিয়। কারণ শুধু ঠোঁটের আয়তন বাড়ানোই নয়, এই ট্রিটমেন্টের রয়েছে আরও কিছু দুর্দান্ত উপকারিতা। আসুন জেনে নেই লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট নেওয়ার উপকারিতা –

সম্পূর্ণ নন সার্জিকাল ট্রিটমেন্টঃ এই ট্রিটমেন্টে সার্জারীর কোন ঝামেলা ছাড়াই চিকন বা অসমান ঠোটের ভলিউম হবে ন্যাচারাল আর শেপ হবে আকর্ষনীয়।
ঠোঁটের রিংকেল দূর করেঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে আমাদের ঠোঁটের চারপাশে যে রিংকেল বা বলিরেখা পড়ে, লিপ ফিলার দিয়ে সেটা কমিয়ে আনা সম্ভব।

ঠোটের সিমেট্রি (Symmetry) ঠিক করেঃ এই ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ঠোঁটের সিমেট্রি ইম্প্রুভ হয়। অনেকের ঠোঁট একপাশ বড় বা শেপের দিক থেকে নিখুঁত করতে চান, লিপ ফিলার সেই অসমতা দূর করে ঠোঁটকে সমান বা সিমেট্রিকাল করে তুলতে পারবে।

ঠোটের টেক্সচার ইম্প্রুভ করে: এই ট্রিটমেন্ট ঠোঁটের টেক্সচার বদলায় রুক্ষ বা ড্রাই লিপকে করে তোলে নরম, মোলায়েম ও হাইড্রেটেড।

ন্যাচারাল ঠোঁটের জন্য লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট কতটা উপযুক্ত?

ন্যাচারাল ঠোঁটের জন্য লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট একটি কার্যকরী ও নিরাপদ পদ্ধতি। বিশেষ করে ন্যাচারাল ঠোঁটের জন্য সফট টেক্সচারের (হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ভিত্তিক) ও লো ডেনসিটি ফিলার অনেক অভিজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টই পরামর্শ দেন এর দ্রুত এবং সঠিক ফলাফলের জন্য। এই ধরনের ফিলার ঠোঁটের ত্বকের গভীরে সহজেই মিশে গিয়ে ঠোঁটকে করে তোলে কোমল, স্মুথ এবং একদম ন্যাচারাল। ঠোঁটের বলিরেখা কমে যায়, রুক্ষভাব দূর হয়, হালকা ভলিউমও বাড়ে—ফলে ঠোঁট দেখতে হয় আকর্ষণীয়। তাই যারা খুব বেশি পরিবর্তন না করে ঠোঁটকে ন্যাচারাল একটা সেলেব লুক দিতে চান, তাদের জন্য এই ন্যাচারাল ফিলার পারফেক্ট চয়েস।

কারা নিতে পারবেন লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট?

যাদের এলার্জি কিংবা শারীরিকভাবে কোনো বড় সমস্যা নেই এবং যাদের মুখের শেপ ও ঠোঁটের ভলিউমে সামান্য চেঞ্জ আনতে চান তারা অবশ্যই অভিজ্ঞ ডার্মালোজিস্টের পরামর্শ নিয়ে এই লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট করাতে পারবেন।

সতর্ক পরামর্শ: ন্যাচারাল ঠোঁট নিশ্চিত করতে লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট অবশ্যই অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডার্মাটোলজিস্টের কাছ থেকে করাতে হবে। কারণ ঠোঁটে সঠিক পরিমানমতো ডোজ এবং নিখুঁত ইনজেকশন টেকনিকের মাধ্যমেই ঠোঁটের শেপ ন্যাচারাল রাখা সম্ভব।

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের আগে যা করণীয়

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট শুরু হওয়ার আগে কিছু নিয়ম মানা জরুরী। যেমনঃ  

  • ট্রিটমেন্টের আগে দক্ষ ডার্মালোজিস্টের সঙ্গে কনসালটেশন করুন। 
  • আপনার ঠোঁটের গঠন, ভলিউম, ত্বকের অবস্থা এবং কাঙ্ক্ষিত লুক কী চান তা সব বিস্তারিত বলুন।  
  • ঠোঁটের হের্পিস বা ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ডাক্তারকে আগেই জানাবেন।  
  • ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখতে বেশি বেশি পানি পান করুন। আর ঠোঁট নরম রাখতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ভালোমানের লিপ বাম ব্যবহার করুন।কারণ ঠোঁট হাইড্রেটেড এবং নরম থাকলে ফিলার ভালোভাবে সেট করা যায়। 
  • ঠোঁটের সেনসিভিটি এড়াতে ট্রিটমেন্টের ২৪ ঘণ্টা আগে স্ক্রাব, ম্যাট লিপস্টিক, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন।

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের পর যা করণীয়

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের পরেও কিছু করণীয় রয়েছে। এই ছোট্ট নিয়মগুলো নিয়মিত মেনে চললে ঠোঁটের ভলিউম, শেপ আর ন্যাচারাল লুক দীর্ঘদিন ধরে অক্ষত থাকবে। যেমনঃ 

  • এই ট্রিটমেন্ট শেষ হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা ঠোঁট নড়াচড়া বা ঘষা থেকে বিরত থাকতে হবে। নাইলে ইনজেকশনের জায়গা ফুলে যেতে পারে কিংবা ফিলার এক জায়গায় জমে অস্বাভাবিক দেখাতে পারে।
  • ট্রিটমেন্টের পর অন্তত ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো মেকআপ, লিপস্টিক বা লিপ বাম ব্যবহার করা যাবে না। এতে ঠোঁটের ত্বক সেনসিটিভ হয়ে যাবে। 
  • ঠোঁট যাতে শুকিয়ে না যায় সেজন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। তবে শুকিয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা লিপ অয়েল বা নির্ধারিত লিপ কেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। 
  • ঠোঁটের ভেতরে চাপ সৃষ্টি করে এবং ফিলারের অবস্থান যাতে নড়বড়ে না হয় সেজন্য ট্রিটমেন্টের পর প্রথম ২৪-৪৮ ঘণ্টা ধূমপান, অ্যালকোহল, খুব গরম খাবার এবং স্ট্র দিয়ে পানীয় পান করা এড়িয়ে চলা উচিত।

লিপ ফিলার করার কতদিন পর্যন্ত ঠোঁটের ন্যাচারাল ভাব থাকে?

সাধারণত লিপ ফিলার ৬ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে কারও ক্ষেত্রে ৯ মাস পর্যন্ত নরম-স্মুথ ভলিউম বজায় থাকে, আবার কারও একটু দ্রুতও কমে যেতে পারে। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যক্তির ত্বকের ধরন, বয়স, লাইফস্টাইল আর ব্যবহৃত ফিলারের ব্র্যান্ড ও কোয়ালিটির উপর। যারা ধূমপান করেন, বা অতিরিক্ত গরম-ঠান্ডার মধ্যে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে ফিলারের স্থায়িত্ব কমে যেতে পারে।

কিন্তু আপনি নিয়ম মেনে ঠোঁটের যত্ন নিলে এই ন্যাচারাল লুক আরও দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব। এছাড়া আপনার ফিলার যদি পুরোপুরি চলেও যায়, তাও ঠোঁটের টেক্সচার আর শেপ আগের তুলনায় অনেক স্মুথ এবং হাইড্রেটেড থাকবে। আপনি চাইলে এই সময়ের মধ্যে রি-ট্রিটমেন্ট করিয়ে ভলিউম বাড়িয়ে আবার সেই সফট-ন্যাচারাল লুক ধরে রাখতে পারবেন।

কেন লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের জন্যে ধানমন্ডি স্কিন এন্ড লেজার সেন্টারকে বেছে নিবেন?

লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের জন্যে ধানমন্ডি স্কিন এন্ড লেজার সেন্টার

মানসম্মত লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট নিতে দরকার অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডার্মাটোলজিস্ট, সঠিক পরিমানমতো ডোজ, এবং নিরাপদ পরিবেশ। আর এই কারণেই ধানমন্ডি স্কিন এন্ড লেজার সেন্টার হতে পারে আপনার জন্য সেরা ঠিকানা। এই সেন্টারে লিপ ফিলার ট্রিটমেন্ট করা হয় অভিজ্ঞ এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কিন ও অ্যাসথেটিক সার্জনদের দ্বারা।

প্রতিটি ক্লায়েন্টের মুখের শেপ, ঠোঁটের আকৃতি ও কাঙ্ক্ষিত লুক বুঝে খুব সাবধানে লিপ ফিলার ব্যবহার করা হয়। এখানে ব্যবহার করা হয় আন্তর্জাতিক মানের অথেনটিক ফিলার ব্র্যান্ড, যা নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী। তাছাড়া ঠোঁটের সৌন্দর্য দীর্ঘদিন ধরে রাখতে ট্রিটমেন্টের আগে ও পরে রয়েছে পারসোনাল কেয়ার, গাইডলাইন ও পরামর্শ।

তাই ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং নিজের কনফিডেন্স ফিরিয়ে আনতে নিরাপদ লিপ ফিলার ট্রিটমেন্টের জন্য আজই ধানমন্ডি স্কিন এন্ড লেজার সেন্টার-এ অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন অথবা বিস্তারিত জানতে কল করুন:
📞 +8801733 765 585, +8801648 909 574

Share This Story!

Your Satisfaction is Our Achievement

Leave A Comment